
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ: অদ্বৈতবাড়ী থেকে শাহ্ আরেফিন মোকাম সড়ক নদীগর্ভে বিলীনের হুমকিতে
তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদী সংলগ্ন রাজারগাঁও অদৈত্ব মন্দিরের জায়গা কেটে বালুর পাহাড় গড়েছেন জেলা শ্রমিকলীগ নেতা বুরহান উদ্দিন। এই নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা। এদিকে দিনের পর দিন বুরহান উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীদের এমন কর্মকাণ্ডে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের স্থান অদ্বৈত বাড়ির মন্দিরসহ অদ্বৈতবাড়ী থেকে শাহ্ আরেফিন মোকাম সড়ক নদীগর্ভে বিলীনের হুমকিতে পড়েছে।
জানা গেছে, অদৈত্ব মন্দির ও তার আশপাশের ফসলি জমি থেকে রাত-বিরাতে শিভ, ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র, যা শ্রমিকলীগ নেতা বুরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে করা হচ্ছে। এ কাজে সহযোগীরা হলেন মালেক, ফারুক, সাইফুল, শাহআলম, নুরুল আমিন, কবির মিয়া ও কিরণ রায়। এরা সবাই মিলে হাজার হাজার ঘনফুট বালু বর্তমানে রাজারগাঁও জাঙ্গালহাটি পয়েন্টের উত্তরপাশে মজুত করে রেখেছেন। অদ্বৈত মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অদৈত্ব রায় এ প্রতিবেদককে বলেন, রবিবার ওসিকে বলেছি মন্দিরটিকে বাঁচাতে বালুখেকোদের যেন ঠেকানো হয়। কিন্তু কই, যে-যেভাবে পারে মন্দিরের জায়গা থেকে বালু লুট করে মন্দিরটিকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এসব কারা করছে, এমন এক প্রশ্নে জড়িতদের নাম বলতে অনীহা প্রকাশ করেন তিনি। অভিযুক্ত বুরহান উদ্দিন বলেন, ব্যক্তিগত কারণে অনেকদিন হলো আমি এলাকার বাইরে আছি। মজুত করা বালুর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মন্দিরের জায়গা বা নদীর পাড় কেটে বালুও উত্তোলন করি না। আমি বরং এসব প্রতিরোধে এখানকার মানুষকে সচেতন করি। এখন দেখছি উল্টো একটি পক্ষ আমার নামে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।