
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকা, নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরও অদৃশ্য ক্ষমতার বলে শাস্তি না পাওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষক ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণ মামলা হয়েছে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ ছাড়া তাকে উপযুক্ত শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। বুধবার ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি লিখেন, ২০২৪ সালে ২২ অক্টোবর ভুক্তভোগীর নিজ বাসায় একাধিকবার ধর্ষণ করেন ড. সুজন চৌধুরী। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সুজন চৌধুরীর নামে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আদালতের শরণাপন্ন হতে বলেন। পরে তিনি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ড. সুজন চৌধুরী বলেন, আমাকে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করছেন ওই নারী। এদিকে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করার বিষয়ে ওই নারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি যদি তাকে ব্লাকমেইল করে থাকি তাহলে ড. সুজন চৌধুরী সেটা প্রমাণ করুক। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমি সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তা এস আই তালেব বলেন, আমি এই মামলার বিষয়ে তদন্ত করছি।