
ভৈরবে মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে কর্তাবাড়ী ও সরকারবাড়ীর গোষ্ঠীর মধ্যে পূর্বশত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষ বাধে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। রাত ৯টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বুধবারও দুইপক্ষের উত্তেজনা চলছে। গুরুতর আহত হয়েছেন পাভেল (৩০), মিলন মিয়া (৬০), তানিম (২০), হাজি আলী আহমেদ (৭৫), মাসুকুর রহমান (৪৫), আংগুর মিয়া (৫৯), বুলবুল (৩২) রুবেল পান্ডা (৩৫) ও তৌহিদ (২২)।
আহতদের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আহতদের সবার বাড়ি মৌটুপি গ্রামে এবং তারা সবাই কর্তা বংশের সমর্থক। এ ছাড়া সরকার বংশের আহতদের মধ্য কেউ ভৈরবের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেনি কর্তা বংশের লোকজনের ভয়ে। তারা পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচরসহ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মেহেদি জানান, মঙ্গলবার গুরুতর আহত ৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা ও কিশোরগঞ্জে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেছি। তার মধ্য রুবেল পান্ডা নামের এক রোগীর অবস্থা গুরুতর বলে তিনি জানান। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, মৌটুপি গ্রামের দুটি পক্ষের শত্রুতা দীর্ঘদিনের। পুলিশকে পর্যন্ত তারা ভয় পায় না।