
ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জের ১০ লাখ কৃষক প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেছেন। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার ফলনও হয়েছে বাম্পার। বৈশাখের আগেই হাওরাঞ্চলের ধান পেকে যাওয়ায় কৃষকরা ধান কাটার পাশাপাশি মাড়াই করে ঘরে তোলার কাজ শুরু করেছেন।
ধান কাটার এই আনন্দঘন সময়েই বৈশাখের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। সেই সঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের পূর্বাভাস কৃষকদের মনে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস পাওয়ার পর সুনামগঞ্জের ১৩৭টি হাওরে দ্রুত ধান কেটে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সুনামগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে হাওরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মাঠে সরাসরি তদারকি চালানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ধান তোলায় কোনোভাবেই দেরি করা যাবে না। ধান ৮০-৯০ শতাংশ পাকলেই কেটে ফেলতে হবে—এখনই ঝুঁকি মোকাবেলায় দ্রুত ধান ঘরে তোলার সময়।
এখন পর্যন্ত জেলার ১৩৭টি হাওরের মধ্যে মাত্র ১৫ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমির পাকা ধান। পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান কাটা শেষ করতে না পারলে বড় ধরনের ফসলহানির আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=-lben9PfT4U
সায়মা ইসলাম