ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বন্যপ্রাণী স্থানান্তর ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে

বান্দরবানে আদালতের নির্দেশে বন্ধ ‘মিনি চিড়িয়াখানা’

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান

প্রকাশিত: ২০:১০, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

বান্দরবানে আদালতের নির্দেশে বন্ধ ‘মিনি চিড়িয়াখানা’

বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র মেঘলায়ে গড়ে ওঠা অবৈধ ‘মিনি চিড়িয়াখানা’ আদালতের রায়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ.এস.এম এমরান এ রায় প্রদান করেন।

আদালতের রায়ের পরপরই চিড়িয়াখানাটিতে থাকা বন্যপ্রাণীগুলো কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে স্থানান্তরের নির্দেশনা কার্যকর করা শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে দুটি গুরুতর অসুস্থ ভাল্লুককে ঘুমপাড়ানি ইনজেকশন প্রয়োগ করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে পার্কে পাঠানো হয়। পর্যায়ক্রমে আরও ১৩টি মায়া হরিণ, হাতি, বনমোরগ, সজারু, বানর, অজগরসহ অন্যান্য প্রাণীও স্থানান্তর করা হবে।

বহুদিন ধরে এই চিড়িয়াখানায় সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বন্যপ্রাণী আটক ও প্রদর্শন করা হচ্ছিল। খাঁচাগুলো ছিল অন্ধকার, সংকীর্ণ ও অপরিচ্ছন্ন। প্রাণীদের দেওয়া হতো অপ্রতুল খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবাও ছিল না। সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে একটি ভাল্লুককে গুরুতর আহত ও সংক্রমিত অবস্থায় দেখা যায়। এর পরই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং প্রশাসন তৎপর হয়।

বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নুর জাহান বেগম জানান, “মেঘলার এ চিড়িয়াখানাটি সম্পূর্ণ অবৈধ। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ (সংশোধিত ২০১৭)-এর আওতায় এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।"

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার ডা. হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইন জানান, “ভাল্লুক দুটির মধ্যে একটির একটি পায়ে মারাত্মক ফাঙ্গাস সংক্রমণ হয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে প্রাণনাশ হতে পারে। আমরা চিকিৎসা দিয়ে ধীরে ধীরে প্রাণীগুলোকে স্বাভাবিক পরিবেশে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করছি।”

এ ঘটনায় বান্দরবানের পরিবেশ ও প্রাণীপ্রেমী মহল সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং সকল অবৈধ বন্যপ্রাণী প্রদর্শন কেন্দ্র বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

এসএফ

আরো পড়ুন  

×