ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইংয়ে মৈত্রী পানি বর্ষণ ও নাচে গানে মেতেছে তরুণ-তরুণীরা  

মোহাম্মদ আবদুর রহিম, বান্দরবান

প্রকাশিত: ২০:০৩, ১৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ২০:০৩, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইংয়ে মৈত্রী পানি বর্ষণ ও নাচে গানে মেতেছে তরুণ-তরুণীরা  

মারমা সম্প্রদায়ের বৃহৎ সামাজিক অনুষ্ঠান মাহা: সাংগ্রাই পোয়ে:  উপলক্ষ্যে মৈত্রী পানি বর্ষণ ও নাচে গানে মেতেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তরুণ তরুণীরা।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় বান্দরবান রাজার মাঠে মাহা: সাংগ্রাই পোয়ে:  উপলক্ষ্যে আয়োজিত সপ্তাহ ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার পঞ্চমদিনে এমন চিত্র দেখা যায়।

এটি এখন শুধু মারমাদেরই না এই উৎসব এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। পুরো শহরজুড়ে চলছে পানি খেলা। শিশু থেকে তরুণ-তরুণী এমনকি বয়স্করাও একে অপরের গায়ে পানি ঢেলে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছে। আনন্দ উদ্দীপনা আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে বর্ণিল হয়ে উঠেছে পাহাড় কন্যা খ্যাত  বান্দরবান জেলাটি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর দল বেঁধে পানি খেলা প্রতিযোগিতায় নেচে গেয়ে আনন্দ উৎসবে নানা রং এর পোশাক পরে সাংগ্রাইং উৎসব পালন করে মারমা সম্প্রদায়। তবে এই উৎসবের আনন্দ নিতে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় সকল সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকও। 

অনুষ্ঠানে আগত মানবাধিকার কর্মী ডনাই প্রু নেলী বলেন, একসময় যুবক যুবতিরা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রিয় মানুষকে খুঁজে নিত এবং ভালোবাসা বা মৈত্রীর সাথে পানি বর্ষণ করতো। এখন যুগ পরিবর্তন হয়েছে।এ উপলক্ষ্যে বৈচিত্র্যময় আয়োজন করা হলেও উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই। মৈত্রীময় পানি বর্ষণের মাধ্যমে নতুন বছর টি গ্লানি মুক্ত, দূষণ মুক্ত,বৈষম্য মুক্ত, হোক শান্তিময়, হোক সমৃদ্ধময়, হোক ভাতৃত্বময় এটাই এক মাত্র প্রত্যাশা।

অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সভাপতি চ নু মং জানান, বিগত দিনের সংস্কৃতি গুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এরূপ আয়োজন করা হয়েছে।যা দেখে তারাও আপ্লুত হয়েছে। আগামীতে প্রবীণদের স্মরণ করে তারাও এরূপ আয়োজন করবে।

সজিব

আরো পড়ুন  

×