
ছবি: জনকণ্ঠ
শিবালয়ে প্রথমবারের মতো উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় ঐতিহ্যবাহী তেওতা জমিদারবাড়ির আঙিনায় ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। বৈশাখের প্রথম দুই দিন মেলার মঞ্চ মাতান লোকজ গানের বিভিন্ন শিল্পীরা। একই মঞ্চে শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় জেপি গ্রুপের চেয়ারম্যান, নাট্যশিল্পী মর্তুজা পলাশ ও তার দলের পরিবেশনায় ঐতিহাসিক নাটক ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’।
এছাড়া মেলায় হস্তশিল্প, মাটির তৈজসপত্র, পাটজাত পণ্যসহ নানা পণ্যের সমাহার ছিল। শিশু-কিশোরদের বাড়তি আনন্দের জন্য ছিল নাগরদোলা, নৌকাসহ নানা খেলাধুলার আয়োজন। প্রতি বছর বৈশাখে জমিদারবাড়ির আঙিনায় এমন আয়োজনের দাবি জানান মুগ্ধ দর্শক-শ্রোতা ও স্থানীয়রা।
বুধবার সন্ধ্যায় মেলার মঞ্চে জনকণ্ঠের এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে। তাদের অধিকাংশ জানান, যমুনা পাড়ের বহু পুরাতন এ জমিদার বাড়িতে রয়েছে ইতিহাসের বহু নিদর্শন। বাঙালির প্রাণের উৎসব বৈশাখকে ঘিরে বর্ণীল সাজে সেজেছে জমিদারবাড়ির আঙিনা। আনন্দে মেতেছে স্থানীয় সব বয়সী নারী-পুরুষ। যা এক সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় তেওতা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মোল্লা বলেন, বৈশাখ উপলক্ষে এখানে অতীতে এমন কোনো অনুষ্ঠান কেউ দেখেনি। প্রথমবারের আয়োজনেই মানুষ মুগ্ধ। নববর্ষের এই আয়োজন শিবালয়ের মানুষকে নতুন উদ্দীপনায় জাগিয়ে তুলেছে। আগামীতেও যেন এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়, এমনটা দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
শিবালয় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’—এ স্লোগানে প্রথমবারের মতো যমুনা পাড়ের তেওতা জমিদারবাড়ির আঙিনা বৈশাখী মেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এতে সংস্কৃতিমনা মানুষের সরব উপস্থিতি বেড়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় আগামীতেও এখানে আরও বড় পরিসরে ভিন্ন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় তারা ফ্যাসিস্টমুক্ত এমন আয়োজনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এ মেলার শেষ দিনে দর্শনার্থীদের বিনোদনের প্রধান আকর্ষণ ছিল নাট্যশিল্পী মর্তুজা পলাশের পরিবেশনায় ঐতিহাসিক নাটক ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত অভিনেতাদের অভিনয়ে মুগ্ধ হন আমন্ত্রিত অতিথিসহ দর্শক-শ্রোতারা।
শহীদ