ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

গাইবান্ধা -২ আসনের সাবেক এমপি কারাগারে

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধা -২ আসনের সাবেক এমপি কারাগারে

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ

গাইবান্ধা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবিরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ নির্দেশ দেন।

পরে তাকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শাহ সারোয়ার কবিরকে দিনাজপুর থেকে কড়া নিরাপত্তায় বুধবার বিকেল ৩টার দিকে গাইবান্ধা আদালতে আনা হয়

গাইবান্ধা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী বলেন, জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় সাবেক এমপিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সাবেক এমপির পক্ষে আইনজীবীরা তার জামিনের জন্য আবেদন জানান। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নিরঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, এই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা পুনরায় জামিনের আবেদন করবো। 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুরে পুলিশের হাতে আটক হন গাইবান্ধা সদর আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবির। রাত সোয়া ৮টার দিকে পৌর শহরের ইদগাহ বস্তি এলাকায় দীবা গার্ডেন নামের একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। শাহ সারোয়ার কবির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

গত বছরের ২৬ আগস্ট শাহ সারোয়ার কবিরসহ আওয়ামী লীগের ৩৬৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়। মামলায় শাহ সারোয়ার কবিরসহ ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়। জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এই মামলা হয়। জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবদুল হাই বাদী হয়ে মামলা করেন। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে জেলা শহরের সার্কুলার রোডের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। পরে কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং আসবাবপত্র বাইরে বের করে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ফারুক

আরো পড়ুন  

×