
ছবি: জনকণ্ঠ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে একটি বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আসবাবপত্রসহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের ভুলিগাঁও গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সোহাগ হাসান বাপ্পির বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেদিন রাতে বাপ্পি ঘরের ভেতর মোমবাতি জ্বালিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি দেখতে পান, তাঁর ঘরে আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে এলেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় তা নিভানো সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে, ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সোহাগ হাসান বাপ্পি বলেন, "ঘরের ভেতর মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতের খাবারের জন্য পাশের বাড়িতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ একজন চিৎকার করে জানাল, আমার ঘরে আগুন লেগেছে। আমি ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। সবাই মিলে প্রাণপণে আগুন নেভাতে চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘরের ভেতরে থাকা আসবাবপত্রসহ কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে"।
দুর্গাপুর ফায়ার স্টেশন লিডার মঞ্জুল ফরাজী বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এসে দেখি, ঘরের ভেতর আগুন জ্বলছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করি। গাড়ির পানি শেষ হলে অন্য উৎস থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। মোমবাতির আগুন থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
শহীদ