
ছবি: জনকণ্ঠ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়াল গেজ রেলপথের নির্মাণকাজ ও অবকাঠামো পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে প্রতিনিধি দলটি গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনে পৌঁছে ইমিগ্রেশন অফিসের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং চলমান কার্যক্রম ও অবকাঠামোর অগ্রগতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জোন-০১ এর বিভাগীয় প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বাংলাদেশ রেলওয়ের কনসালটেন্ট সন্তোষ কুমার সাহু ও বিপিন কুমার।
পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলটি গঙ্গাসাগর থেকে আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর রেলপথ ধরে নির্মাণকাজ ও অবকাঠামো ঘুরে দেখেন এবং বিকেলে পুনরায় গঙ্গাসাগর স্টেশনে ফিরে আসেন। তারা চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে আখাউড়ায় আসেন।
পরিদর্শন শেষে ইঞ্জিনিয়ার আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, “আখাউড়া-আগরতলা ডুয়াল গেজ রেলপথের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। স্টেশন এলাকায় ইমিগ্রেশন অফিসের কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি চলছে। কিছু কারিগরি কাজ ও দাপ্তরিক প্রক্রিয়া দ্রুতই শেষ করা হবে।”
বাংলাদেশ রেলওয়ের কনসালটেন্ট সন্তোষ কুমার সাহু বলেন, “রেলপথটি চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।”
উল্লেখ্য, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১২.২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথের মধ্যে ৬.৭৮ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে এবং ৫.৪৬ কিলোমিটার ভারতের ত্রিপুরা অংশে।
বাংলাদেশ অংশে গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবন, প্ল্যাটফর্ম এবং সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে উদ্বোধনের পরও এখনো ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। প্রকল্পটি সরকারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি চালাচালি হয়েছে বলে জানা গেছে।
শহীদ