
ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দীর্ঘদিনের বকেয়া পৌরকর আদায়ে সফল হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন থেকে প্রতি বছর ১৬০ কোটি টাকা পৌরকর দিতে সম্মত হয়েছে। এ পর্যন্ত আপাতত ১০০ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে, যা নগর উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করা হবে।
গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের আয়ের এক শতাংশ (১%) এবং ১ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার বর্গফুট অবকাঠামোর জন্য বার্ষিক ১৬০ কোটি টাকা পৌরকর দাবি করে আসছিল সিটি কর্পোরেশন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে চিঠি চালাচালি এবং আলোচনা অব্যাহত থাকার পর বিষয়টি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপিত হয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন্দর কর্তৃপক্ষ ১০০ কোটি টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, অতীতের কোনো মেয়রই বন্দরের ন্যায্য পাওনা পুরোপুরি আদায় করতে পারেননি, কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, "এই অর্থ নগরীর উন্নয়ন, স্কুল-কলেজের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা এবং নাগরিকদের বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হবে।"
বর্তমান ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সিটি কর্পোরেশনের বাজেট ১৯৮১ কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকারি বরাদ্দ প্রায় ১০০০ কোটি টাকা। তবে, পৌরকর আদায়ের হার এখনও কম—গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি হোল্ডিং থেকে মাত্র ১৫৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। বন্দর থেকে প্রাপ্ত ১০০ কোটি টাকা এই ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।
মেয়র শাহাদাত হোসেন আরও উল্লেখ করেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ মোট ১১৫ কোটি টাকা দাবি করলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিতে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। অবশিষ্ট ১৫ কোটি টাকা পরবর্তীতে প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে প্রতি বছর ১৬০ কোটি টাকা পৌরকর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়ের অন্যতম উৎস হল সরকারি ও বেসরকারি হোল্ডিং থেকে প্রাপ্ত কর। বর্তমানে ৫১৬টি সরকারি হোল্ডিং থেকে ৭৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং বেসরকারি হোল্ডিং থেকে ৭৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আদায় হয়েছে।
চট্টগ্রামের উন্নয়নে এই অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী স্থানীয় প্রশাসন ও নগরবাসী।
সূত্র:https://youtu.be/QcNjKH4Ud4o?si=VWrvp3EDfrlJ1frh
আঁখি