ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

চুনারুঘাটের বৈশাখী মেলায় কৃষি পণ্যের সমাহার

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ॥

প্রকাশিত: ২২:০২, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

চুনারুঘাটের বৈশাখী মেলায় কৃষি পণ্যের সমাহার

শত বছরের ঐতিহ্য হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বৈশাখী মেলা (বান্নি) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পীরের বাজারে (পূর্বের নতুন বাজার) এ মেলা শুরু হয়। এই মেলায় এবার সবচেয়ে বেশি উঠেছে বিভিন্ন ধরনের কৃষি পণ্য।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, দোকানিরা নানা ধরনের কৃষি পণ্য, ফল ও প্লাস্টিকের পণ্য নিয়ে এসেছেন। ক্রেতারাও এসে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া মেলায় আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের টহল দলকেও দেখা গেছে মেলা প্রাঙ্গণে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক যুগ আগেও চুনারুঘাটের এই মেলাটি ছিল সিলেট বিভাগের ঐতিহ্য এবং সবচেয়ে বড় বৈশাখি মেলা। এ মেলায় শুধু হবিগঞ্জ জেলা নয়, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ এমনকি ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গ থেকেও আসতো নানা পণ্য ও সরঞ্জামাদি। এখানকার মানুষ সারা বছর অপেক্ষা করতেন মেলা থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার। বিশেষ করে কৃষিপণ্য আর কৃষিকাজে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম যেমন লাঙল, জোয়াল, মই, উইটার ইত্যাদি কিনতে অপেক্ষা করতে হতো তাদের।

এছাড়াও মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম নিতে এ বান্নি ছিল সবার আগে। কিন্তু কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে কৃষিকাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম এখন আর খুব কাজে আসছে না। ফলে শত বছরের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী চুনারুঘাটের পীরের বাজারের মেলা। সেই সঙ্গে মেলার আশপাশের ফাঁকা জমিতে ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে অনেক। এজন্য মেলার আয়তনও কমেছে। অনেকে মনে করেছেন মেলা তার পূর্বের জৌলুস হারিয়ে ফেলছে।

সনাতন ধর্মালম্বীদের হিসেবে বাংলা বছরের প্রথম দিন প্রতি বছর এ মেলা হয়ে আসছে। এ হিসেবে এবার নববর্ষের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেলা।

প্রচলিত আছে, শত বছর পূর্বে স্থানীয় সনাতনরা বছরের প্রথম দিনে ক্ষুদ্র পরিসরে ছোট মাঠে পূজার আয়োজন করতেন। পূজায় যোগ দিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর ভক্তরা আসতেন। তখন থেকে পূজাকে কেন্দ্র করে এখানে মানুষদের আসা যাওয়া শুরু হয়।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান জানান,  বৈশাখী মেলায় নানা ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। নানা স্থানের লোকজন মেলায় এসে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করেন। মেলায় কঠোর নিরাপত্তা ছিল। 

সজিব

×