ছবি: সংগৃহীত
বাড়ির উঠানে থাকা গাছ বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাকু ও বটি দা দিয়ে ছেলের উপর্যুপরি আঘাতে ঘটনাস্থলেই মা মনজিলা বেগম জিরা (৬৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় কিনে নেয়া গাছ কাটতে আসা এক গাছ বেপারীকেও কুপিয়েছে ওই ছেলে মো. মনজু (৪০)।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গাছ বেপারিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মো. মনজু ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামালপুর পৌরসভার হাটচন্দ্রা রেলঘুন্টি এলাকায় নিহতের নিজবাড়িতে ঘটেছে এই নির্মম ঘটনা। নিহত মনজিলা বেগম ওই এলাকার মো. কামরুল ইসলাম কামুর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী। তার ছেলে মনজু তার আগের স্বামী ইসলামপুর উপজেলা নিবাসী তোতা মিয়ার ঔরশজাত সন্তান। প্রায় ৩০ বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এছাড়া ওই ছেলের হাতে আহত হওয়া গাছবেপারির নাম শেখ ফরিদ (৪৫)। তার বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার ঝিনাই সেতু এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টাকার অভাবে বাড়ির উঠানে থাকা লম্বু নামে একটি গাছ বিক্রি করেন মা মনজিলা বেগম। মঙ্গলবার সকালে কিনে নেয়া ওই গাছ কাটতে আসেন বেপারি শেখ ফরিদ। ছেলে মনজু গাছ কাটতে বাঁধা দিলে গাছবেপারির সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে ওই গাছ বেপারির পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন মনজু। গাছ বেপারিকে উদ্ধার করতে মা মনজিলা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে এবং বটি দা দিয়ে গলায় জবাইয়ের মতো আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান মা মনজিলা বেগম। প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে হামলাকারী মনজু পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় গাছ বেপারি শেখ ফরিদকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ বিষয়ে জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া খান মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, নিহত মনজিলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার ছেলে মো. মনজুকে আটকের জন্য অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
আসিফ
