
মামলার তিন আসামী।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় সালিশে না যাওয়ায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৬০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। এর আগে রবিবার দুপুরে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নে আবদুল গফুর (৫০) ও ছেলে মেহেদী হাসানকে (১৫) কুপিয়ে হত্যা করে সালিশকারীরা। এ ঘটনায় রবিবার রাতে জনকন্ঠের অনলাইনে উক্ত শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গত রবিবার দুপুরে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নে আবদুল গফুর (৫০) ও তাঁর ছেলে মেহেদী হাসানের (১৫) বিরুদ্ধে দুটি তেলাপিয়া মাছ ও মোবাইল চুরির ঘটনায় স্থানীয়রা সালিশে ডাকেন। ঘটনার দিন সালিশে বসে বাবা ছেলেকে ডাকেন সালিশকারীরা। কিন্তু বাবা ছেলে সালিশে না এসে ঘরে রাম-দা নিয়ে বসে থাকে। সালিশকারীরা তাদের বাড়িতে ডাকতে গিয়ে রাম-দা হাতে নিয়ে বাবা ছেলেকে বসে থাকতে দেখেন। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা ছেলের হাত থেকে রাম-দা কেড়ে নিয়ে তাদের কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে গত সোমবার সকালে মযনাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ওই দিন রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন, পলাশীহাটা গ্রামের মো. রিপন (৩২), নাওগাঁও গ্রামের মো. মোজাম্মেল হক (৬৫) ও এক কিশোর (১৩)। নিহত আব্দুল গফুরের স্ত্রীর করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, মেহেদী আমার স্বামীর প্রথম পক্ষের ছেলে। সে একটু বখাটেপনা করত। চার-পাঁচ দিন আগে আবদুল মোতালেবের ফিশারিজ থেকে দুটি তেলাপিয়া মাছ ধরায় ক্ষুব্ধ হয়ে বকাঝকা করে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। এর মধ্যে প্রতিবেশী বিদেশ ফেরত একজনের কিছু কাগজ ও মোবাইল চুরি হওয়ার অপবাদ দেয় মেহেদীকে। এ নিয়ে সালিস বসালে আমার স্বামী ছেলেকে নিয়ে যায়নি। সে কারণে বাড়িতে এসে হামলা করে হত্যা করে।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে জড়িত ব্যক্তিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মুমু