
ছবি: জনকণ্ঠ
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাগেরহাটের কচুয়ায় প্রথমবারের মতো বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার গোয়ালমাঠ রশিকলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুড়ি হাতে নানা বয়সী মানুষ আসতে থাকেন মাঠে। নির্ধারিত সময় বিকেল চারটায় আকাশে ঘুড়ি ওড়ানো শুরু করেন তারা। নানা আকার, রং ও ঢংয়ের ঘুড়িতে রঙিন হয়ে ওঠে আকাশ। প্রকৃতির বাতাসে ঘুড়িগুলো উড়ে দিগন্ত ছাড়িয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণ ছিল নাটাইয়ে।
শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি মেয়েরাও অংশগ্রহণ করে এই ঘুড়ি উৎসবে। শতাধিক ঘুড়ি আকাশে ওড়ান ঘুড়িপ্রেমীরা। ব্যতিক্রমধর্মী এমন আয়োজন সুস্থ বিনোদনের পাশাপাশি কিশোর ও যুবকদের মোবাইল ও মাদকাসক্তি কমাবে বলে ধারণা সকলের। দীর্ঘদিন পর এমন উৎসবে অংশ নিতে পেরে খুশি সকলে।
ঘুড়ি উৎসবে অংশগ্রহণকারী গোয়ালমাঠ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হোহা আফরিন বলেন, “অনেক ছোট থাকতে বাড়ির পাশের মাঠে ঘুড়ি উড়িয়েছি কয়েকবার। আজকে আবার সেই ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম আমরা। অনেকক্ষণ ঘুড়ি উড়িয়েছি, এই আয়োজনে আমরা খুবই খুশি।”
আরেক শিক্ষার্থী মারজানা খানম বলেন, “সবাই মিলে ঘুড়ি উড়িয়েছি। শুধু এই ঘুড়ি উৎসবের কারণেই এবারের নববর্ষ আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
শিক্ষক খালিদ হোসেন বলেন, “বর্তমানে বেশিরভাগ কিশোর, যুবক-যুবতী মোবাইল ও মাদকে আসক্ত। অনেক ক্ষেত্রেই শিশুরাও মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ থেকে বের হতে হলে ঘুড়ি, ক্রিকেট, হাডুডু, ফুটবলসহ গ্রামীণ খেলাধুলায় ফিরে যেতে হবে আমাদের। আজকের এই ঘুড়ি উৎসব আমাদের সন্তানদের মাদক ও মোবাইল থেকে কিছুটা হলেও দূরে রাখবে।”
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, “মানুষের প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন। আর এই ধরণের আয়োজন মানুষকে প্রকৃতির কাছে যেতে সহযোগিতা করে। এবারের এই আয়োজন শুরু হলো, ভবিষ্যতে স্থানীয়রাই এমন আয়োজন করবে।”
এম.কে.