
কনের বয়স ১৫, রাতে গোপনেই চলছে বিয়ের আয়োজন। কনের বাড়িতে হাজির হয়েছেন বরযাত্রীরা। শুধু কাজী সাহেব আসার অপেক্ষা। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। ঠিক ওই সময়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ। ঘটনাটি রবিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেবথৈলগ্রামে।
জানা গেছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ গ্রামের এক কিশোরের বিয়ের সম্বন্ধ হয়। গোপনেই বিয়ের আয়োজন করছিল পরিবার। যথাসময়ে বরযাত্রীও হাজির হয়েছেন। শুধু কাজী আসার অপেক্ষা। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হওয়ার কথা ছিল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাৎক্ষণিক বাল্যবিবাহটি বন্ধ করে বরের ও কনের বাবাকে দশ হাজার টাকা অর্থ-দেয়া হয়। এছাড়া প্রাপ্তবয়স না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিয়ে না দেয়ার জন্য মুচলেকা নেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাল্যবিবাহের তথ্য পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি শুধু কাজী আসার অপেক্ষায় তারা। বিয়ে পড়ানোর সব আনুষ্ঠানিকতা করা শেষ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ মোতাবেক কনে ও বরের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়ে ও ছেলের প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে মুচলেকা আদায় করা হয়েছে।
রিফাত