ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

“ফ্যাসিবাদের অবসান” স্লোগানে কেন কাঁপলো বরিশাল

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

“ফ্যাসিবাদের অবসান” স্লোগানে কেন কাঁপলো বরিশাল

ছবি: জনকণ্ঠ

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। আর এই উৎসব যেন নতুন প্রাণ ছুঁয়ে দিয়েছে গোটা বরিশালকে। সকাল গড়াতেই শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক, পার্ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। সব বয়সের নারী-পুরুষ একসাথে বৈশাখের উৎসবে মেতে উঠেছেন। দিনভর চলে প্রাণের এই উৎসব।

সকাল নয়টায় বরিশাল সার্কিট হাউজ থেকে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হাতে মুখোশ, কাঁধে ঢাক-ঢোল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মঞ্চে গান, কবিতা, নৃত্য আর পটচিত্রে ভরপুর ছিল সার্কিট হাউস চত্বর ও বেলস পার্ক। ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ শ্লোগানে মুখর ছিল গোটা বরিশাল। গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে পালকি, চাষি, জেলে ও ঐতিহ্যবাহী সরঞ্জাম ছিল প্রধান প্রদর্শনীতে।

বৈশাখ মানেই পান্তা-ইলিশ আর সংস্কৃতির বন্ধন। তাই নগরীর রেস্টুরেন্টগুলোতে আয়োজন করা হয়েছিল বৈশাখী বিশেষ মেনু। ইলিশ-পান্তা, বেগুন ভাজি, খেজুরের পায়েসে জমে ওঠে বৈশাখের স্বাদ। অনেকেই পরিবারসহ হোটেল কিংবা বাড়িতে আয়োজন করেন দিনব্যাপী ভোজ।

সাংস্কৃতিক আয়োজনে রঙ ছড়াতে বরিশাল নগরীর বেলস পার্কে স্থাপন করা হয় প্রায় অর্ধশতাধিক স্টল, যেখানে লোকজ শিল্প, পণ্য ও খাবারের সমাহার ছিল। পাশাপাশি সার্কিট হাউস চত্বরে বরিশাল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, জাসাস, হেরারশ্মি, অমৃত লাল দে কলেজ, বিএম স্কুল, শিল্পকলা একাডেমি—সব জায়গায় দিনভর চলে একের পর এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বরিশাল প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু পার্কে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে প্রাতঃভ্রমণ পরিষদের বৈশাখী সাংস্কৃতিক আয়োজন। জেলার বাইরে বৈশাখের সবচেয়ে বড় আয়োজন করা হয়েছিল গৌরনদীতে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. আবু আবদুল্লাহ খানের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে বাঙালিয়ানা খাবারের আয়োজন, দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

শহীদ

×