ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

সরকারি আদেশের দোহাই দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা থেকে টোল আদায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, আখাউড়া

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ১৪ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৯:৫৯, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

সরকারি আদেশের দোহাই দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা থেকে টোল আদায়

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভায় সিএনজি ও অটোরিকশা থেকে টোল আদায় ঘিরে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও বিতর্ক।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে পৌর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সিএনজি ও অটোরিকশার কাছ থেকে ১৫ টাকা হারে টোল আদায় শুরু করা হয়। এ ঘটনায় অটোচালকরা বিক্ষোভ করে প্রতিকার চেয়ে আজ সোমবার দুপুরে প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছে।

এর আগে রোববার রাতে পৌর এলাকায় মাইকিং করে জানানো হয়, সোমবার (পহেলা বৈশাখ) থেকে প্রতিটি সিএনজি ও অটোরিকশার কাছ থেকে ১৫ টাকা হারে টোল আদায় করা হবে। মাইকিংয়ে দাবি করা হয়, এটি নাকি সরকারি আদেশ অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে এ ঘোষণার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো প্রজ্ঞাপন বা নির্দেশনা এখনো জারি হয়নি। ফলে "সরকারি আদেশ" বলে উল্লেখিত বক্তব্যটি বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। অনেকেই মনে করছেন, যদি এটি পৌরসভার নিজস্ব সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, তাহলে কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল জনসমক্ষে স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান এবং এর আইনগত ভিত্তি তুলে ধরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই একে ‘নতুন ধরনের চাঁদাবাজি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, যেখানে সরকারের নাম ব্যবহার করে সাধারণ চালকদের ওপর বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকে এই ঘোষণার পেছনে কারা জড়িত, তা তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

অটোরিকশা চালক জুয়েল মিয়া টোল আদায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এমন টোল আদায় করা হতো। ওই সরকারের পতনের পর আজ থেকে আবার টোল আদায় শুরু করেছে। তাহলে ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে এখনকার পার্থক্য কি রইলো।আমরা টোল দিবো না। পাশে থাকা আরেক চালক বলেন, আমরা পৌরসভা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে লাইসেন্স করে গাড়ি চালাই। তাহলে আবার প্রতিদিন ১৫ টাকা করে কিসের টাকা দিবো। আমরা সাধারণ মানুষের উপর আর কত জুলুম করবেন।

এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিগত ইউএনও সাহেব সরকারি নিয়ম মেনে পৌরসভায় ৫ টি ইজারা দিয়েছেন। পৌর পশুর হাট, কাঁচা বাজার ও তোহা বাজার, রানির দীঘির পশ্চিম পাড় সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ড, থানা ব্রিজ সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ড এবং বাইপাস সিএনজি স্ট্যান্ড। যিনারা এগুলো ইজারা নিয়েছেন তাদের সাথে মার্চ মাসে চুক্তি সম্পাদনও করেছেন। সে অনুযায়ী ইজারাদার আজকে বৈশাখের প্রথম দিন থেকে টোল আদায় শুরু করেছে। 

আসিফ

×