
ছবি: সংগৃহীত
কলাপাড়ায় জমিজমার বিরোধের মামলায় সাক্ষী হওয়ায় মাছ ব্যবসায়ী জালাল মিয়াকে (৫০) বেধড়ক পেটানো হয়েছে। তার বাম পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। কুপিয়ে তার ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
রবিবার রাত নয়টায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার রফিকের নেতৃত্বে নৃশংস এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় বলে আহত জালাল মিয়ার অভিযোগ।
তিনি বলেন, রাতে পাখিমারা বাজারে আমার মাছের আড়ৎ বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম। আমি বাড়ির দরজায় পৌছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তারা আমাকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় এবং বগি দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এসময় আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। মারধরের সময় আমার সঙ্গে থাকা এক লাখ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়।
জালাল মিয়া আরো বলেন, আমি ২০১২ সালে আমার বড় বোনের জামাই গফফার মোল্লার কাছে নবীপুর মৌজার ১১৫ নং খতিয়ানের এসএ ১২৫৩/১২৫৬ দাগের ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করি। এছাড়া সেখানে আমার বোন জামাই আরো কয়েকজনের কাছ থেকে মোট ১৪৪ শতক জমি কেনেন।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমার বোন জামাইকে এসব জমির ভোগ দখলে বাঁধা দিয়ে আসছে অভিযুক্ত রফিক। প্রায় তিন মাস আগে এ বিরোধের জেরে আমার ভাগনে বউয়ের শ্লীলতাহানি করে রফিক, সান্টু ও রাসেলসহ কয়েকজন। মারধর করা হয় আমার বোন, ভাগিনা এবং আমার বোন জামাইকে।
এঘটনায় আমার ভাগনে বউ পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালেএকটি মামলা করেন। ওই মামলায় আমাকে সাক্ষী করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার কাছে কয়েকদফা চাঁদা দাবি করেন। আমি চাঁদা না দেওয়ায় এবং এ মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় রফিকের নেতৃত্বে সান্টু, রাসেল, আল আমিন ও আবদুল হক ঘরামি আমাকে মারধর করেন।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, ”আমি গরিব মানুষ। কাম-কাজ করি। এ ঘটনার বিষয় কিছু জানি না। আমি রবিবার এলাকায় আছিলাম না। তয় হুনছি এলাকায় বিএনপি আওয়ামী লীগ মারামারি অইছে। আমারে ফাও দোষী করতে আছে”।
কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, এঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মায়মুনা