
এআই তৈরি ছবি
রাজধানীর ডেমরার রসুলনগর এলাকায় অভ্যন্তরীণ রাস্তা বন্ধ করা নিয়ে এলাকাবাসীর দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষই ডেমরা থানায় পর্যায়ক্রমে গত রোববার(১৩ এপ্রিল) রাতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। গত ১২ এপ্রিল দিবাগত রাতে রসুলনগর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রথম মামলার বাদী মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিনি গত ২৫ বছর ধরে তার জমিতে পরিবারসহ বসবাস করে আসছেন। তবে প্রায় আট মাস আগে আবু তাহের নামের একজন ব্যক্তি তার বাড়ির সামনের চলাচলের রাস্তা টিনের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে দেন।
গত ১২ এপ্রিল রাতে স্থানীয়দের নিয়ে বেড়াটি সরাতে গেলে আবু তাহেরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী জোসনা বেগম, ছেলে আব্দুর রহিম জিহাদ, প্রতিবেশী রেজোয়ান হোসেন মীর, তার স্ত্রী ও ছেলে মেহেদী হাসানসহ আরও কয়েকজন আহত হন। এ সময় ধারালো দায়ের কোপে মমতাজ পারভিনের নাক গুরুতরভাবে জখম হয় এবং ইরফান (১৮) নামের এক যুবকের হাত লোহার রডের আঘাতে ভেঙে যায়।
আরো জানা যায়, দ্বিতীয় মামলার বাদী আব্দুল্লাহ আল সিফাত তার দাদীর নামে থাকা একটি জমিতে পরিবারসহ দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা দলবল নিয়ে ওই জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে টিনের বেড়া খুলে দখলের চেষ্টা করেন। এতে বাঁধা দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে সিফাতের ছোট ভাই আমির হামজা রামদা'র কোপে গুরুতর আহত হন। এছাড়া তার বাবা আব্দুস সালাম আবু, আত্মীয় মেহেদী হাসান (১৮) সহ কয়েকজন আহত হন। মেহেদীর চোখে গুরুতর আঘাত লাগায় তার দৃষ্টিশক্তি হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, “উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই দুই মামলায় উভয় পক্ষের চিহ্নিত ১৪ জনসহ অজ্ঞাত ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের চলমান তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মায়মুনা