
ছবি: সংগৃহীত
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে ইটভাটা শ্রমিক সর্দার রাশেদ মাঝি নামে একজনকে পিটিয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তার চিৎকারে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। পরে পরিবারের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে পল্লী চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
ঘটানাটি ঘটে রবিবার রাতে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নর ২ নং ওয়ার্ডের নারগিস মিয়ার দোকানের পাশে। আহত রাশেদ মাঝি (৫০)একই এলাকার সফিউল আলমের ছেলে। সে পেশায় ইটভাটা শ্রমিকের সর্দার।
রাশেদ মাঝি জানায়,আমি উপজেলা সদর ওছখালী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আফাজিয়া বাজার হয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় একজন আমাকে মোবাইল করে ঘটনাস্থল নার্গিস মিয়ার দোকানের সেদিকে যেতে বলেন। সে ঘটনাস্থলে পৌছার সাথে সাথে কবির মেস্ত্রী, পারভেজ সহ ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ তার উপর এলোপাথাড়ি হামলা করে। তারা তাকে পিটিয়ে তার বুকের উপর পাড়া দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তার সাথে থাকা নগদ অর্থসহ সব লুটে করে নেয়। পরে তার সাথে থাকা আক্তার নামে একজন চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
রাশেদ আরো জানায়, সে ইটভাটায় শ্রমিক নেওয়ার জন্য গ্রামে অনেক লোককে অগ্রিম টাকা দেয়। এদের মধ্যে একজন তার টাকা নিয়ে এবছর কাজে যায়নি। তাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। তার সেই লোক এখানে আছে বলে একজন তাকে মোবাইল করলে রাশেদ ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল বলে জানান রাশেদ।
এই ঘটনার পর গ্রামের অনেক লোক রাশেদকে দেখতে তার বাড়ীতে আসেন। তার শরীরের অনেকাংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুকের ব্যথায় সে কথা বলতে পারছে না। স্থানীয়রা জানান, পারভেজ সহ এই গ্রুপটি এলাকায় বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত। রাশেদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও এভাবে সর্বস্ব লুট করে নেওয়ায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত কবির মেস্ত্রীর সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, এ বিষয়ে আহত রাশেদের পিতা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আসিফ