
ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইটভাটা শ্রমিকের সর্দার রাশেদ মাঝি নামে একজনকে পিটিয়ে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। এই বিষয়ে সোমবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আহত রাশেদ মাঝির পিতা।
এর আগে রবিবার বিকালে ঘটানাটি ঘটে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের নারগিস মিয়ার দোকানের পাশে। এই ঘটনায় আহত রাশেদ মাঝি একই এলাকার শফিউল আলমের ছেলে। সে পেশায় ইটভাটা শ্রমিকের সর্দার।
রাশেদ জানায়, সে উপজেলা সদরের ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আফাজিয়া বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় একজন তাকে মোবাইল করে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। সে ঘটনাস্থলে পৌছার সাথে সাথে কবির মেস্ত্রী, পারভেজ সহ ৭-৮ জনের একটি গ্রুপ তার উপর হামলা করে। তারা তাকে পিটিয়ে তার বুকের উপর পারা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তার সাথে থাকা নগদ অর্থসহ সব লুটে নেয়। পরে তার সাথে থাকা আক্তার নামে একজন চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
রাশেদ আরো জানায়, সে ইটভাটায় শ্রমিক নেওয়ার জন্য গ্রামে অনেক লোককে অগ্রিম টাকা দেয়। এদের মধ্যে একজন তার টাকা নিয়ে এবছর কাজে যায়নি। তাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। তার সেই লোক এখানে আছে বলে একজন তাকে মোবাইল করলে রাশেদ ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল বলে জানান রাশেদ।
এই ঘটনার পর গ্রামের অনেক লোক রাশেদকে দেখতে তার বাড়ীতে আসেন। রাশেদের শরীরের অনেকাংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পারভেজ সহ এই গ্রুপটি এলাকায় বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত। দিনে দুপুরে এ ভাবে মানুষের সর্বস্ব লুট করে নেওয়ায় বিরাজ করছে আতংক।
অভিযুক্ত কবির মেস্ত্রীর সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে হাতিয়া থানা পরিদর্শক(তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, এ বিষয়ে আহত রাশেদের পিতা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মায়মুনা