ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

ড. ইউনূসের যে পদক্ষেপ পরবর্তী সরকারকে হাসিনার মতো স্বৈরাচার হতে দিবে না

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ১৪ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০৯:১৫, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

ড. ইউনূসের যে পদক্ষেপ পরবর্তী সরকারকে হাসিনার মতো স্বৈরাচার হতে দিবে না

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার আগমন দেশের ডিজিটাল ভূগোলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে। প্রফেসর মুহাম্মদ  ইউনূসের  উদ্যোগে আসন্ন এই প্রযুক্তি সরকারের ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আমূল বদলে দেবে, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। স্যাটেলাইটভিত্তিক এই ব্যবস্থা স্থানীয় টেলিকম অবকাঠামো থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে, সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করবে, ফলে সরকারের ইন্টারনেট বন্ধ করার প্রচলিত ক্ষমতা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।

 

 

২০২৪ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে সরকার যে দমননীতি প্রয়োগ করেছিল, স্টারলিংক সেই পদ্ধতিকে চিরতরে অকার্যকর করে দেবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই প্রযুক্তি বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সরকারের একচেটিয়া তথ্য নিয়ন্ত্রণকে মৌলিকভাবে চ্যালেঞ্জ করবে। একদিকে যেমন এটি ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশ ত্বরান্বিত করবে, অন্যদিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজতর করবে। সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় এটি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

 

 

স্টারলিংকের সফল বাস্তবায়নের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যবহারকারী টার্মিনালের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। আইনি ও নীতিগত কাঠামো পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে এই প্রযুক্তির পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো সম্ভব হবে। প্রফেসর ইউনুসের এই উদ্যোগ কেবল একটি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে সুদৃঢ় করার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ। স্টারলিংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ যখন তথ্য প্রযুক্তির নতুন যুগে প্রবেশ করছে, তখন এটি নিশ্চিত করবে যে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং দেশের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।

সূত্র:https://youtu.be/9ThL3IVij_Y?si=wArpG2_f0oD_A4In

আঁখি

×