ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

আদালতে হাজির না হলে টিউলিপকে পলাতক দেখিয়ে বিচার কার্যক্রম চলবে: দুদক

প্রকাশিত: ০৭:২২, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

আদালতে হাজির না হলে টিউলিপকে পলাতক দেখিয়ে বিচার কার্যক্রম চলবে: দুদক

ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্প্রতি বেশ কয়েকটি উচ্চপ্রোফাইল মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য, ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন ২০২০ সালে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ৫ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন। এছাড়া, অসদুপায়ে অর্জিত ৫ কোটি ৮ লক্ষ টাকার অসংগতিপূর্ণ সম্পদ ভোগদখল করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

 

 

একইভাবে, লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ৯০ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা অনুযায়ী চার্জশিট দাখিল করা হবে। এ কেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রীসহ কয়েকজন আসামী বর্তমানে পলাতক থাকায় আদালত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারি রেখেছেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, আসামীরা যদি নির্ধারিত সময়ে হাজির না হন, তাহলে অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য শুরু করা হবে।  

 

 

অন্যদিকে, এক্সিম ব্যাংক ও নাসা গ্রুপের পরিচালক নাসরিন ইসলাম ও তার স্বামী নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক আইন ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম মোকাম্মেল হক, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সেলিম উদ্দিন ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবরসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রথম মামলায় বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিতরণে জালিয়াতি ও ২৩ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার কম্বলের অতিরিক্ত বিল দিয়ে ২৩ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

 

 

পদ্মা ব্যাংক থেকে ৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে অন্য ঋণ শোধে ব্যয় করার অভিযোগে চৌধুরী নাফিস শরাফাতসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করা হবে।

 

দুদকের প্রতিনিধি জানান, মামলাগুলো দায়ের করতে বিলম্বের কারণ হলো সম্পদ বিবরণী যাচাই, নোটিশ প্রদান ও তদন্তের সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। আদালতে হাজির না হলে টিউলিপকে পলাতক দেখিয়ে বিচার কার্যক্রম চলবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি বাস্তবায়নে দুদক আপোসহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্র:https://youtu.be/R1Nl5-mxocw?si=up6rcynBdUfoGxC7

আঁখি

×