ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ 

প্রকাশিত: ২২:২৬, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি: জনকণ্ঠ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় শালিশে না আসায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই এলাকার পিতা আবদুল গফুর (৪০) ও ছেলে মেহেদী হাসান (১৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও চুরির ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে গ্রামে শালিশ বসার কথা ছিল। 

রবিবার দুপুরে গফুরের বাড়ির সংলগ্ন নাওগাঁও হোসেনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সামনে শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে শালিশ বসে। তবে শালিশে আবদুল গফুর ও মেহেদী হাসান উপস্থিত না থেকে ঘরের ভেতরে দা নিয়ে বসে থাকেন। তাদের খোঁজে শালিশকারীরা বাড়িতে গেলে, তারা দা নিয়ে বেরিয়ে আসেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গফুর ও তার ছেলেকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর শত শত মানুষ পাশের রাঙামাটিয়া গ্রামে গিয়ে হারুনুর রশিদ নামের একজনের বাড়ি, দোকানঘর ও একটি মাজারে ভাঙচুর চালায়।

নিহত গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, "স্থানীয় হাবিবুর রহমানসহ শত শত মানুষ শালিশের নামে আমার স্বামী ও ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। যত অপরাধই করে থাকুক, দেশে আইন আছে। আইনের মাধ্যমে বিচার হতো। আমার স্বামী ও ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করল কেন? ঘটনার পরপরই শালিশকারীরা গা ঢাকা দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে।"

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, "শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে গ্রাম্য শালিশ বসেছিল। সেখান থেকেই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন রিপন (৩২), মোজাম্মেল (৬৫) ও আল আমিন (১৩)। হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।"

শহীদ

×