ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পর্যটন নির্ভর জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ১৩ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৯:৫৫, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পর্যটন নির্ভর জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন সীমিত করার ফলে স্থানীয় জনগণের জীবিকার যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করেই বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় দ্বীপের মানুষের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান নির্ধারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে একটি ওয়ার্কিং টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে কৃষি, মৎস্য, ট্যুরিজম বোর্ড, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন, ব্রাক ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এ কমিটি এবিষয়ে অতিদ্রুত সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।

সভায় বলা হয়, মাছ ধরায় সহযোগিতা, পরিবেশবান্ধব জাল ও আধুনিক ডিভাইস দেওয়া হতে পারে। শুটকি মাছের বাজারজাতকরণে ব্রান্ডিং করা হবে। সিউইড, মাশরুম, সবজি চাষ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশু পালন, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়। নারীদের জন্য সেলাই, নকশি কাঁথা, স্মারক সামগ্রী তৈরি, নারিকেল ছোবড়া দিয়ে দড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সহায়তা, অন্যান্যদের বৃক্ষরোপণ, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, রেস্টুরেন্টে কাজ শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্থানীয় যুবকদের পরিবেশ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্যুর গাইড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। জমির ধরণ অনুযায়ী সবজি উৎপাদনেও উৎসাহ দেওয়া হবে। সেন্টমার্টিনের শুটকি মাছ উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহ ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব উদ্যোগ স্থানীয়দের আয় বাড়াতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: কামরুজ্জামান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, কোস্ট গার্ড, টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আসিফ

×