
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
প্রতিষ্ঠার ৫১ বছর পর প্রথম সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এক প্রসূতি মা পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলার উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
আজ রবিবার দুপুরে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারেরই সফল সিজারের মাধ্যমে নাজমা আক্তার (২৬) নামের এক প্রসূতি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শওকত আলীর তত্ত্বাবধানে অপারেশনের দায়িত্ব পালন করেন সিজারিয়ান সেকশনের প্রধান সার্জন ডা. শাহনাজ শিমুল ও ডা. তহুরা আক্তার। তাদের সাথে ছিলেন ডা. এসএম মাসুম বিল্লাহ ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অনামিকা ভট্টাচার্য।
নবজাতকের বাবা উপজেলার জয়শ্রী গ্রামের বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে আমার স্ত্রীর সিজার করা হয়েছে। বর্তমানে স্ত্রী এবং সন্তান দুইজনেই সুস্থ আছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী জুনায়েদ খান সিয়াম বলেন, ১৯৭৪ সালে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু অপারেশন থিয়েটারে লোকবলসহ পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাবে উপজেলার সেবা গ্রহীতাদের বরিশালসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে সেবা নিতে হয়েছে। এতে করে সাধারণ রোগীদের দালালের খপ্পরে পরে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।
এ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সরকারি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার চালু করার। কিন্তু অতীতের কোন সরকারই এ দাবি বাস্তবায়ন করেননি।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শওকত আলী বলেন, প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময় পর বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের আন্তরিকতায় আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমবারের মতো এক প্রসূতির সিজারের মাধ্যমে চালু হওয়া অপারেশন থিয়েটারে এখন থেকে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকবে।
খোকন আহম্মেদ হীরা/ফারুক