ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২

ঝিনাইগাতীতে সবজি চাষে ব্যাপক সাফল্য ইউপি সদস্যের

আরএম সেলিম শাহী, ঝিনাইগাতী, শেরপুর

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

ঝিনাইগাতীতে সবজি চাষে ব্যাপক সাফল্য ইউপি সদস্যের

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অনাবাদি জমিতে স্মার্ট পদ্ধতিতে মিশ্র সবজি চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও কৃষি উদ্যোক্তা মো. গোলাপ হোসেন।

সরজমিনে গেলে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও কৃষি উদ্যোক্তা মো. গোলাপ হোসেন দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, ইউটিউব দেখে সবজি বীজ সংগ্রহ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজস্ব ৬০ শতাংশ জমিতে স্মার্ট পদ্ধতির মালচিং করে বাহুবলী জাতের টমেটো, ফিলমাস্টার জাতের শসা ও নাগা ফায়ার মরিচের চাষ করা হয়। জমি প্রস্তুত, সার, পানি,মালচিং,শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ওই সময় ব্যয় হয় প্রায় ৭০ হাজার টাকা। চারা রোপনের এক মাস পর থেকে প্রতিটি গাছে ফল আসতে শুরু করে।

প্রতিদিন তার বাগানের সবজি ক্রয় করতে স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসতেন পাইকারা।
তখন বাজারের ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি করতেন গোলাপ হোসেন।

কৃষি উদ্যোক্তা গোলাপ হোসেন আরও জানান, চারা রোপনের দুই মাসের মধ্যে মণ প্রতি ১২'শ টাকা টমেটো, মণ প্রতি ১৬'শ টাকায় নাগা ফায়ার জাতের ২০ মণ মরিচ এবং শশা ৭৫ মণ ১৬'শ টাকা করে পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়। সবমিলিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে। 

এছাড়াও সাথে ফসল হিসেবে একই জমিতে চাষ করা হয়েছে, বরবটি, করলা, ধুন্দল, হাইব্রিড বারোমাসি সজিনা,বস্তায় আদা এ ছাড়াও মালোশিয়ান রামভুটান ফলের চাষ করা হয়েছে। প্রতিদিন সবজি বাগানে পাঁচ থেকে ছয়টি পরিবারের সদস্যদের তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। সবজি ক্ষেত নিয়মিত পরিচর্যা করছেন শ্রমিকরা।

সবজি ক্ষেতের রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের থেকে নিয়মিত নেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। মাঝেমধ্যে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো, আফাজ উদ্দিন তিনিও সবজি বাগান পরিদর্শন করে সু পরামর্শ দেন।

গোলাপ হোসেন আরও জানান, সরকারি সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে সবজি চাষের পরিকল্পনা রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রম থাকলে কৃষিতেই সফলতা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগতভাবে সহায়তা দেয়া হচ্ছে ইউপি সদস্য ও কৃষি উদ্যোক্তা গোলাপ হোসেনকে। তিনি একটি পলি নেট হাউজ নিতে আগ্রহ জানানোর পর তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। পলি নেট হাউজ এর কোনও বরাদ্দ আসলে তাকে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মুমু

×