
প্রতীকী ছবি
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চার সন্তানের জননী অন্ত:সত্ত্বা এক নারীকে (৩০) বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। প্রতিবেশি সেলিম খাঁ (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে । ওই নারীকে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানসহ ডান চোখে মারাত্মক জখম করা হয়। বর্তমানে আহত নারী শরীরের যন্ত্রনা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। তিনি নিজেকে নিরাপত্তাহীন ভেবে কান্না জুড়ে দেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে ওই নারী গণমাধ্যম কে এসব অভিযোগ করেন।
ওই নারী জানান, বিপিনপুর গ্রামে তার বসবাস। তার স্বামী একটি মামলায় দুই মাস ধরে জেল হাজতে রয়েছেন। চার সন্তানকে নিয়ে তিনি মৎস্য শ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। চরম অসহায় জীবন-যাপন করছেন। স্বামী জেলে যাওয়ার পর থেকেই সেলিম খাঁ তাকে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে সেলিম তাকে ধর্ষণের উদ্দেশে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে । নিজেকে রক্ষায় বাঁধা দিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে ওই নারী অচেতন হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে সেলিম খা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ।
ওই নারী বলেন, ‘আমারে নানা কায়দায় জ্বালায়। আমি রাজি না অওয়ায় মারে। নাক পাছাইয়া ঘুষি দেছে।এরপর সেলিম দৌড়াইয়া পলাইছে। লোকজন আইয়া সব দ্যাখছে।’
এব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম খান বলেন, ‘ওই মহিলার লগে প্রথমে আমার ছেলের ঝগড়া মারামারি অইছে। হেরপর রাস্তায় ওপরে বিকালে আমার লগে মারামারি অইছে। অনেক মানুষ আছিল। তারা সব জানে। ওই মহিলা তহন জানাইছে হে নাহি বুকে ব্যথা পাইছে। আমি কইছি চিকিৎসা করাও। আমি টাহা দিমু। এর বেশি না। ধর্ষণের কথা মিথ্যা। বানানো কথা।’ সেলিম খান উল্টো অভিযোগ তুলে বলেন, ‘ওই মহিলা স্বামী-স্ত্রী গাঁজা বেচেন।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
মুমু