
ছবি: সংগৃহীত
সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বজলুর রশীদ ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস আজ ১২ এপ্রিল ২০২৫ সংবাদপত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান-চাল ক্রয়ের সরকারি সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটা কৃষকের সাথে সরকারের নির্মম প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এ বছর সরকারের কৃষি বিভাগ চলতি বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ কোটি টন এবং সেখান থেকে ২ কোটি টন চাল পাওয়ার কথা। অথচ সরকার ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মাত্র সাড়ে ১৭ লাখ টন। এর মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান এবং ১৪ লাখ টন সিদ্ধ চাল।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমাদের সংগঠন কৃষক ফ্রন্টের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি যে কৃষক ধান উৎপাদন করে, তারা চাল উৎপাদন করেনা। ধান থেকে চাল তৈরি করে চাতাল ও মিল মালিকরা। ফলে ধান কম কিনে চাল বেশি ক্রয় করার মধ্য দিয়ে সরকার কৃষককে বঞ্চিত করে চাতাল ও চাল কল মালিক সিন্ডিকেটকেই পৃষ্ঠপোষকতা করছে। নেতৃবৃন্দ ধান-চাল ক্রয়ের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারও যে অতীতের ফ্যাসিবাদী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতেই পরিচালিত হচ্ছে তা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ছাড়া ৩ কোটি টন ধানের মধ্যে মাত্র সাড়ে ৩ লাখ টন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত কোন মতেই কৃষকের স্বার্থ রক্ষা হবে না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এও দাবি করছি যে অন্তত পক্ষে উৎপাদিত ধানের ৪ ভাগের ১ ভাগ অর্থাৎ ৩ কোটি টন হলে ৭৫ লাখ টন ধান প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরকারিভাবে উৎপাদক কৃষকের কাছ থেকে কিনতে হবে। আর ধানের পরিমাণ বাড়িয়ে চালের পরিমাণ কমাতে হবে। নেতৃবৃন্দ চলতি বোরো মৌসুম থেকেই কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টন ধান ক্রয় করা এবং সরকারি গুদামের ধারণ ক্ষমতাও ২১ লক্ষ টন থেকে বাড়িয়ে ৫০ লক্ষ টন করার দাবি জানান।
আসিফ