ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

কর্মশালায় মৎস্য উপদেষ্টা

জাটকা নিধন বন্ধ হলে আরও ৬ হাজার কোটি টাকার ইলিশ উৎপাদন সম্ভব

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ১২ এপ্রিল ২০২৫

জাটকা নিধন বন্ধ হলে আরও ৬ হাজার কোটি টাকার ইলিশ উৎপাদন সম্ভব

.

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জুন মাসের পরে যখন ইলিশ বাজারে আসবে তখন যেন দামটা ঠিক থাকে। তা না হলে জনগণ আমাকে ক্ষমা করবে না। শনিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটরিয়ামে (বিএআরসি) ‘ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রজনন সাফল্য নিরুপণ, জাটকা সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অরুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন।  ইলিশের অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ইলিশ রপ্তানি করা যেতে পারে। আমরাও ইলিশ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারি। তবে আগে আমাদের দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে। এবার জুন মাসের পরে যখন ইলিশ বাজারে আসবে তখন যেন দামটা ঠিক থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। তা না হলে জনগণ আমাকে ক্ষমা করবে না।  তিনি বলেন, আমরা যদি যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি। তাহলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর ৯৫ ভাগ জেলেরা যদি ইলিশ ধরা বন্ধের সময় তারা না ধরেন তাহলে কেন আমরা বাকি কাজটা করতে পারব না।

সরকারের সহায়তা যেন জেলেরাই পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এটা এলাকাভিত্তিক করতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ শুধু জালের কারণে নষ্ট হচ্ছে। এটা নিয়ে অভিযান চলছে, অনেক কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে জালের কারখানা রয়েছে। সেখানে বৈধ ও অবৈধ জাল তৈরি হয়। এজন্য অবৈধ জাল তৈরি বন্ধ করতে হবে, কারখানা নয়। এক্ষেত্রে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক আন্তরিক আছেন। কর্মশালায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম মূল প্রবন্ধে বলেন, দেশে ইলিশের মোট উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও গত ২ বছর যাবৎ বড় আকৃতির ইলিশের সংখ্যা কমছে। এছাড়া দূষণের কারণে নদ-নদীতে ইলিশের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। সেই সঙ্গে কারেন্ট জাল ইলিশ মাছের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ইলিশ গবেষণায় আরও জোর দেওয়ার তাগিদ দিতে হবে। জাটকা নিধন বন্ধ করতে পারলে বছরে আরও প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ইলিশ উৎপাদন সম্ভব। ইলিশ গবেষণায় জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়ে মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ইলিশসহ নদ-নদীর অন্যান্য মৎস্য জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নদীদূষণ প্রতিরোধ করতে হবে। ইলিশের সহনশীল উৎপাদন বজায় রাখতে ন্যূনতম ৬ দশমিক ৫ সেমি. ফাঁসের জাল ব্যবহার করতে হবে। জাটকাকে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

প্যানেল

×