ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

প্রতিপক্ষের ২০টি বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, গ্রেফতার ২০

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ১২ এপ্রিল ২০২৫

প্রতিপক্ষের ২০টি বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, গ্রেফতার ২০

ছবি: জনকণ্ঠ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ মোল্লা (৫৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের কমপক্ষে ২০টি বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ওই রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযানে সংঘর্ষের সাথে জড়িত উভয় পক্ষের ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এদিকে ফরিদ মোল্লা নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা রাতেই প্রতিপক্ষের কমপক্ষে ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও দোকানপাট লুটপাট করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক পিকুল, কাক্কা মিয়া, সাহেব মোল্লা, বুলু ফকির, খালিদ শেখ, রংগু শেখ, শামরুল মল্লিক, আকার মল্লিক, মোস্তাক মোল্লা, শহিদ শেখসহ আরও অনেকের বাড়িতে লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত জনতা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্লা ও আফতাব মোল্লা পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইতোমধ্যে এ বিরোধে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে মিলন মোল্লা পক্ষের সানোয়ার নামের একজন ব্যক্তি নড়াইলে আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একা পেয়ে আফতাব মোল্লা পক্ষের লোকজন তাকে মারধর করে। এর জেরে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মিলন মোল্লা পক্ষের লোকজন আফতাব মোল্লার বাড়িতে হামলা করে। পরে খবর পেয়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।

ফরিদ মোল্লাকে খুলনা মেডিকেলে নেওয়া হলে রাত ৯টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাশিদুল ইসলাম বলেন, “ফরিদ মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও, নতুন করে যাতে প্রতিপক্ষের বাড়িতে ভাঙচুরসহ কোনো সহিংসতা না ঘটে, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ২০ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।”

এম.কে.

×