
ছবি : সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে একটি সুপরিকল্পিত গুজব প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় একটি গোষ্ঠী ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তাঁকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। গত ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১৬টি ভুয়া খবর শনাক্ত করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই তৈরি করা হয়েছে 'সানবিট ম্যাজিক' ও 'প্রেস ডিশওয়াশিং' নামক প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
এই গুজব প্রচারে সবচেয়ে আলোচিত ছিল ড. ইউনূস কর্তৃক ইসরাইলকে ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়ার মিথ্যা দাবি। এছাড়াও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে তাঁর সম্পাদিত ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিক সূত্রে জানা গেছে, এসব গুজব মূলত বেনামী কিছু ফেসবুক পেজ ও নতুন গজিয়ে ওঠা সংবাদপোর্টাল থেকে ছড়ানো হচ্ছে। মজার বিষয় হলো, কিছু রাজনৈতিক নেতা তাদের বক্তৃতায় এসব অপ্রমাণিত তথ্য উল্লেখ করছেন।
এনজিও ও গণমাধ্যম বিশ্লেষকদের মতে, এই গুজব প্রচারের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক সুনাম ক্ষুণ্ণ করা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুজব ছড়ানোর এই ধারা বন্ধ করতে না পারলে এটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইতিমধ্যে কিছু মানবাধিকার সংগঠন গুজব ছড়ানো বন্ধে সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নাগরিক সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি নাগরিকের উচিত কোনো তথ্য শেয়ারের আগে তার সত্যতা যাচাই করা। সরকারেরও উচিত গুজব ছড়ানোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। মনে রাখতে হবে, গুজব শুধু একজন ব্যক্তির ক্ষতি করে না, এটি সমগ্র সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
আঁখি