
মুকসুদপুরে যে কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে বনগ্রাম ভুইয়া বাড়ি অন্যতম। স্থানীয়দের কাছে এটি বনগ্রাম ভূঁইয়া বাড়ি নামেও বেশ পরিচিত। এটি একটি প্রাচীন প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন। মুকসুদপুর টেকেরহাট মহাসড়ক হয়ে ৭কিঃমিঃ দূরে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রামে কুমার নদীর তীরে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি।
জানা গেছে, জমিদার রজত দৌলত ভৌমিক আনুমানিক ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝিতে প্রায় দশ বিঘা জায়গা জুড়ে জমিদারি বাড়িটি নির্মাণ করেন। জমিদার বাড়িটির প্রবেশদ্বারে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সুবিশাল স্বরসতী মন্দির। যে স্বরসতী মন্দিরের নামকরণ হয়েছে জমিদার রজত দৌলত ভৌমিক এর উত্তরসূরী স্বরসতীর নাম অনুসারে।
জনশ্রুতি মতে, জমিদার রজত দৌলত ভৌমিক কোথাও যেতে তার দুই সুবিশাল ময়ূরপঙ্খী সাম্পান নৌকা ব্যবহার করতেন। এজন্য ছোট বনগ্রাম বাড়ির উত্তর পশ্চিম প্রান্তে জমিদারি বাড়িটির কোল ঘেষে রয়েছে একটি সাম্পান নৌকা ঘাট। যেখান থেকে সাম্পানে চড়ে জমিদার রজত দৌলত ভৌমিক দেশ বিদেশ ঘুরতে যেতেন।
সমাজসেবী আবু সাঈদ খান জনকন্ঠকে বলেন, জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পর থেকে জমিদার বাড়িটি তার পূর্বের জৌলুশ হারিয়ে এখন জরাজীর্ণ পুরনো জমিদারি বাড়ির স্মৃতি চিহ্ন বহন করছে। এখানে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক তাদের চিত্তবিনোদন এবং ঐতিহাসিক কাহিনী সম্পর্কে জানতে জমিদার বাড়িটি দর্শন করে।
রিফাত