
ছবি: সংগৃহীত
ফেনীতে তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপপ্রবাহের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়াজনিত রোগ। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। অপরদিকে এসব রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১২ টি ওয়ার্ডের ৪শ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতলে ১৮৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে এবং জরুরী বিভাগ থেকে ৩শ রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৭৩ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৭ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৫ জন। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬১ জন এবং পুরুষ ওয়ার্ডে একই শয্যার বিপরীতে রোগী ৫৭ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আক্রান্তদের বেশিরভাগ শিশু ও নারী। যারা জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। সিট না পেয়ে অধিকাংশ রোগীকে মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের।
প্রতিদিনই গড়ে ১৫-২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমের প্রভাবে রোগীর চাপ বেড়েছে। রোগীর চাপের কারণে চাইলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান নার্স ও ডাক্তাররা।
হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। বিশেষ করে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড, ডায়রিয়া ওয়ার্ড ও লেবার ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে নিয়মিত হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকসহ নার্সদের। তারপরও সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: রফিকুল ইসলাম।
ফেনীতে চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মায়মুনা