ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে লাখো মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের আয়ের অন্যতম খাত পর্যটন। এই খাতে আয় বাড়াতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করা হোক। এটি শুধু চট্টগ্রামবাসীর দাবি নয়, পুরো দেশের দাবি। এই সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে, প্রাণহানি হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সড়কটি এখনো প্রশস্ত করা হয়নি। পাশাপাশি এই সড়কে কিছু চালক আছেন, যাদের বয়স কম, তারা বেপরোয়া গাড়ি চালান। আমি হাইওয়ে পুলিশকে বলছি, তারা যেন আইন পকেটে না রেখে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করেন।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে। কক্সবাজার ও বান্দরবানে যাতায়াতের পাশাপাশি এই সড়ক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বিপুল পরিমাণ রসদ সরবরাহের মাধ্যমও। একটি সরু সড়কে এত চাপের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এবং প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার টানেলের মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি প্রশস্ত করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহাইব বলেন, আমরা গত ৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। সেখানে আমরা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছি, যাতে সরকার এর মধ্যেই আমাদের দাবি মেনে নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকে লাখো মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। আমরা খবর পেয়েছি, যোগাযোগ উপদেষ্টা অত্যন্ত তৎপর হয়েছেন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য। কিন্তু আমাদের কাছে খবর আসছে, একটি গোষ্ঠী ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য উপদেষ্টা মহোদয়কে বাধা দিচ্ছে। আমরা তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি—এই মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহাইবের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠক মিজানুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন—চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান সাঈদী, সিইউজের টিভি ইউনিটের প্রধান তৌহিদুল আলম, ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠক শফিকুল আলম, মুজিবুল হক, কে মাহমুদ ফয়সাল, সিইউজের নির্বাহী সদস্য আহসান হাবিবুল আলম।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন—সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, রুনা আনসারি, অ্যাডিশনাল পিপি মো. শরীফ, নিসচা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সাজীব, রেজা মোজাম্মেল, আহমেদ মূসা, নয়ন বড়ুয়া জয়, আরফাত হোসেন বিপ্লব, আইনজীবী মো. জমির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হায়দার চৌধুরী, জিয়াউর রহমান, সাইফুর রহমান চৌধুরী, আব্দুল জব্বার সাকিল, চৌধুরী সিয়াম ইলাহি, ইমতিয়াজ উদ্দিন খান, জুবাইর উদ্দিন আরমান, জিয়াদ, এস. এম. মঈন উদ্দীন, সিফাতুল মুনতাহা ও জান্নাতুল ফেরদৌস সামিয়া।
ফারুক
