
ছবি : সংগৃহীত
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি বিশ্বে ৩৫তম স্থান অর্জন করেছে, যা এশিয়ায় ১৭তম অবস্থানের সমতুল্য। এই অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারকে (৩৭তম) পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছে, যা দেশের প্রতিরক্ষা খাতের ক্রমাগত উন্নয়নেরই স্বাক্ষর বহন করে।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তিমত্তার চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সেনাবাহিনীতে ১ লক্ষ ৬০ হাজার সদস্য কর্মরত রয়েছেন যাদের সজ্জায় রয়েছে ৩২০টি ট্যাংক এবং ৫৫০টি টোয়েড আর্টিলারি। নৌবাহিনীর সক্ষমতায় যুক্ত হয়েছে ৭টি ফ্রিগেট ও ২টি সাবমেরিন, অন্যদিকে বিমানবাহিনীর বহরে রয়েছে ৪২টি ফাইটার জেট এবং ৬৫টি হেলিকপ্টার।
আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বে ৯ম স্থান দখল করেছে, যেখানে তুরস্ক ৯ম, পাকিস্তান ১২তম এবং ইন্দোনেশিয়া ১৩তম অবস্থানে রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার (৩৪তম) ঠিক পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর তালিকায় প্রথম পাঁচে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া।
গত তিন বছরে বাংলাদেশের সামরিক শক্তির এই ঊর্ধ্বগতি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ২০২৩ সালে দেশের অবস্থান ছিল ৪০তম, ২০২৪ সালে তা উন্নীত হয়ে দাঁড়ায় ৩৭তম এবং বর্তমানে ৩৫তম স্থানে পৌঁছেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা এই অর্জনের পেছনে সামরিক খাতের অব্যাহত আধুনিকায়ন এবং কৌশলগত মিত্রতা বৃদ্ধিকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই উন্নয়ন দক্ষিণ এশিয়ার শক্তি ভারসাম্যে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।
সূত্র:https://youtu.be/_FEgIjI9CUo?si=gAzbgJs6UZneTYxx
আঁখি