ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

খাল উদ্ধারের পুরাতন পরিকল্পনা বদল করল ডিএনসিসি

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ১১ এপ্রিল ২০২৫

খাল উদ্ধারের পুরাতন পরিকল্পনা বদল করল ডিএনসিসি

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মান্ডা, শ্যামপুর, জিরানী ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৯৮ কোটি টাকা, যেখানে ফুডকোর্ট, টয়লেট ও বৈদ্যুতিক খুঁটি নির্মাণের মতো অবকাঠামো অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে পুনর্মূল্যায়নের পর এসব অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দেওয়ায় ব্যয় কমছে বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।

 

 

খাল পুনরুদ্ধারের মূল উদ্দেশ্য জলাবদ্ধতা নিরসন হলেও প্রকল্পে অতিরিক্ত অবকাঠামো যুক্ত হওয়ায় সমালোচনা তৈরি হয়। নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান সতর্ক করে বলেন, "খালের মধ্যে ফুডকোর্ট বা অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের চেয়ে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করাই জরুরি। দখলদারদের সঙ্গে কোনো আপোস করা হলে ভবিষ্যতে ঢাকার সব খালই দখলের ঝুঁকিতে পড়বে।"

স্থানীয় বাসিন্দা রহমতুল্লাহর মতো অনেকেই দশকের পর দশক ধরে খাল দখল ও ভরাট হতে দেখেছেন। তিনি বলেন, "একসময় নৌকায় চলাচল করা এই খাল এখন ময়লা-আবর্জনায় ভরা। গত ছয় মাস ধরে পরিষ্কার না করায় মশা ও দুর্গন্ধে এলাকাবাসীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।"

 

 

প্রকল্পটির আরেকটি বিতর্কিত দিক হলো খালের সীমানা নির্ধারণ। প্রথমে পানি আইন অনুযায়ী খালের পাড় থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত থাকলেও পরে সিএস রেকর্ড অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে খালের প্রস্থ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সাল নির্ধারণ করা হলেও পুনর্মূল্যায়নের কারণে সময়সীমা বাড়তে পারে, যা স্থানীয়দের দুর্ভোগ আরও বাড়াবে।

 

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জানান, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো হলেও খাল পুনরুদ্ধারের মূল কাজগুলো ঠিক থাকবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের নামে টাকা ব্যয় না করে খালের স্বাভাবিক রক্ষণাবেক্ষণ ও দখল উচ্ছেদে জোর দেওয়াই উত্তম পন্থা।

সূত্র:https://youtu.be/gzjWaWp8X3Y?si=xb3ih80HKVOJ1NRq

আঁখি

×