ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

বিমান বাহিনী ঘাঁটির নতুন নাম বীর উত্তম এ কে খন্দকার

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:১৩, ১১ এপ্রিল ২০২৫

বিমান বাহিনী ঘাঁটির নতুন নাম বীর উত্তম এ কে খন্দকার

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার

ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটির নাম ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার’ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকারের নামকরণ অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার  ঢাকা সেনানিবাসের কুর্মিটোলার বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত হয়। ঘাঁটির নামকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। খবর আইএসপিআর। 
সম্মানিত বিমান বাহিনী প্রধান বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে আরও স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের একজন অকুতোভয় বীর এবং জাতির ইতিহাসের এক বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমকে যার বীরত্ব গাথা অবদানের জন্য ওই ঘাঁটির পুনঃ নামকরণ করা হয়েছে।

এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতাও যিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অটুট নিষ্ঠা, কৌশলগত বুদ্ধি এবং অদম্য চেতনা জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে। মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তিনি কঠোর মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ের দিকে পরিচালিত প্রচেষ্টাগুলোর সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান নিযুক্ত হন এবং তার যোগ্যতম পরিচালনায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বিমান বাহিনী পুনর্গঠনে সক্ষম হন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান এবং এই বাহিনীর উন্নয়নে অতুলনীয় ভূমিকা রাখার জন্য তার নামে এই ঘাঁটির নামকরণ করে তাঁকে এবং তাঁর উত্তরাধিকারীগণকে সম্মান জানানো হয়।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধ ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে  ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।  এ ছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তমকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাঁর অনন্য সাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১’ এ ভূষিত করে।

×