
ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য রফতানির সুবিধা তথা ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হলেও এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি দেশের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায়। একইসঙ্গে ত্রিদেশীয় বুড়িমারী স্থলবন্দরেও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক। অন্যান্য দিনের মতোই আমদানি-রপ্তানিকারকরা নিয়মিতভাবে পণ্য আনা-নেওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বাংলাবান্ধা দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে এবং বুড়িমারী দিয়ে ভারত, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ১৪৭ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হয়েছে। জানুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এ পথে মোট ৩,৪০২ মেট্রিক টন আলু রফতানি করা হয়েছে। একইসঙ্গে নেপাল ও ভুটান থেকে আগের মতোই আমদানি হয়েছে বোল্ডার পাথর, সুগার মোলাসেস, অর্গানিক রঙসহ বিভিন্ন পণ্য।
এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) ভারত তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি তথা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। এতে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিলেও পরদিন কার্যক্রমে তেমন কোনো ব্যাঘাত দেখা যায়নি।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত নেপাল ও ভুটান থেকে ২৪টি ট্রাকে বোল্ডার পাথর, সুগার মোলাসেস, অর্গানিক রঙসহ বিভিন্ন পণ্য এসেছে। একইদিনে বাংলাদেশ থেকে রফতানির জন্য ২৩টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে, যার মধ্যে ২১টি ট্রাক নেপালে গেছে। তিনি জানান, ভারতের নেতিবাচক সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব বাংলাবান্ধায় পড়েনি এবং ব্যবসায়ী ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানান।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ নাহিদ জানান, বুড়িমারী ও ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। পুলিশের অভিবাসন চৌকির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে আমদানি-রপ্তানি হয়েছে। এদিন ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর ও ফলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকেও বেশ কিছু পণ্য রফতানি করা হয়েছে।
নুসরাত