
ছবিঃ সংগৃহীত
কলাপাড়ায় এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর, ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে বিবস্ত্র করে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগে লতাচাপলী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ উপজেলার পুলিশি থানা মহিপুরের আওতাধীন আলীপুর বাজার সংলগ্ন থ্রি পয়েন্ট এলাকায় দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. মশিউর রহমান মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ২৩ মার্চ ৬ জনকে আসামি করে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এর প্রেক্ষিতে শ্রমিক দল নেতা মামুন মোল্লাকে মহিপুর থানা পুলিশের একটি টিম নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে , পটুয়াখালীর বাউফলের বাসিন্দা মশিউর, একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীক কাজে তিনি আলীপুর থাকেন। ঘটনার দিন তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে থ্রি পয়েন্ট এলাকায় আসলে কয়েকজন মিলে আচমকা তাঁকে হাত, পা বেধে আলীপুর টোলপ্লাজা সংলগ্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ৫-৭ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তাঁকে মারধর শুরু করে। সাথে থাকা নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। কার্ড দিয়ে আরো ২০ হাজার টাকা এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাঁর আত্মীয় স্বজন থেকে ফোন করে ৬০,০০০/- টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা দেওয়ার আগ মুহুর্তে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন চালায় ও বিবস্ত্র করে ছবি তুলে রাখা হয়। এছাড়া এসবের ভিডিও ধারণ করে অভিযুক্তরা। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অন্যত্র নারীদের ভিডিও কল করে তাঁকে উলঙ্গ করে দেখায়।
ভুক্তভোগী মশিউর রহমান জানান, আমাকে মারধর করার কারণে শরীরে জখম বয়ে বেড়াচ্ছি, আমাকে উলঙ্গ করে ভিডিও করে রেখেছে যা নিয়ে আমি সার্বক্ষণিক সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি। তাই আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি মহিউদ্দিন মুসল্লি জানান, একজন ব্যবসায়ী'র সাথে এ ধরনের আচরণ আমি এবং আমার দল সমর্থন করে না। দলের সিদ্ধান্ত পরিপন্থী কোনো কাজের দায়ভার দল নিবে না।
তাই তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এ ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে দল, ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে , তাকে আজকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মারিয়া