
ছবি-ধুলিয়া লঞ্চঘাট
বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চ ঘাটে প্রবেশের টিকিটের মূল্য ১০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। অথচ সরকারি ভাবে এই টিকিটের মূল্য ৫ টাকা করে নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। কোন যাত্রী প্রতিবাদ করলে তাকে নাজেহাল হতে হয়।
অপরদিকে ট্রলার থেকে লঞ্চে মালামাল উঠানোর জন্য ৬০ টাকার পরিবর্তে ৪-৫শ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ধুলিয়া টু ঢাকাগামী দোতলা লঞ্চে ডেকভাড়া ৪শ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৫শ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। কেবিন ভাড়া নেয়া হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে আড়াইগুন থেকে তিনগুন বেশি। এর ফলে যাত্রীরা পরেছেন বিপাকে। বাংলা ১৪৩১ সালের জন্য এই লঞ্চঘাটটি ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় কালাম হোসেন।
সাইফুল, রাসেল ও শাকিল নামের তিন যাত্রী অভিযোগ করেন তারা লঞ্চযোগে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে ধুলিয়া ঘাটে আসলে তাদের কাছ থেকে ৫টাকা মূল্যের টিকেট ১০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। এ ঘাট দিয়ে ঈদ পরবর্তী কয়েক হাজার মানুষ লঞ্চযোগে ঢাকা গেছেন। আর এই সুযোগে ঘাটের ইজারাদার টিকেটের মূল্যে বাড়িয়ে দ্বিগুন মুনাফা করেছেন।
এ ব্যাপারে ইজারাদার কামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ধুলিয়া লঞ্চঘাটে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নিয়োজিত আবু সাইদ জানান, এরকম কোন অনিয়ম তার চোখে পরেনি। কারো কাছ থেকে ঘাট ইজারাদারের লোকজন নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে টিকেট ক্রয় করে থাকলে তিনি লিখিত অভিযোগ করতে পারেন। কর্তৃপক্ষ অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন।
ইমরান