
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ বড় কোনো সংকটে পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানিয়েছেন, দেশের নিজস্ব সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “গতকালই বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, সেখানে কিছু ক্রেতাও উপস্থিত ছিলেন। আমরা আমাদের ব্যবস্থাপনায় সংকট উত্তরণে কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিযোগিতায় যেন ঘাটতি না হয়, সেজন্য বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও কাজ চলছে।”
উল্লেখ্য, ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (CBIC) গত মঙ্গলবার ২০২০ সালের ২৯ জুন জারি করা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আদেশ বাতিল করে। ওই আদেশের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে পরিবহণের সুযোগ ছিল।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “কিছু অবকাঠামোগত সমস্যা আছে, কিছু খরচ বৃদ্ধি–সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, অচিরেই সমাধান সম্ভব হবে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের দাবি ওঠায়, এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “এটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি কাজ করছি সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর।”
ভারতের উদ্দেশে কোনো চিঠি দেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “এই মুহূর্তে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেই।” তিনি আরও জানান, “যুক্তরাষ্ট্র তিন মাসের জন্য বাড়তি শুল্ক স্থগিত করায় আমরা একটি তাৎক্ষণিক সুরক্ষা পেয়েছি, পাশাপাশি আলোচনার জন্যও কিছু সময় পাচ্ছি।”
আসিফ