
ছবি: সংগৃহীত।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিব বিশ্বাস (৩০)কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার একটি পা ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় একই ইউনিয়নের যুবদল, ওয়ার্ড যুবদল ও ছাত্রদলের একাধিক নেতা তার ওপর হামলা চালায়।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বাবলাতলা বাজারের পশ্চিম পাশে বালুর মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় রাকিবকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
রাকিব বিশ্বাস জানান, বুধবার সকালে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে সরকারি বরাদ্দকৃত ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ চলছিল। খবর পাই যে ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক (মাস্টার) বেশ কিছু জেলের কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে পছন্দসই লোকদের মাঝে চাল দিচ্ছেন। তিনি চালপ্রাপ্তদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন রাকিব।
ঘটনার পর মহিপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু, ধুলাসার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদসহ কয়েকজন মিলে চাল বিতরণের অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে রাকিবের সঙ্গে ছিদ্দিক মাস্টারের তর্কাতর্কিও হয়।
রাত ৯টার দিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রিন্স খলিফার গ্রামের বাড়িতে যান রাকিব। সেখান থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গাজী তাকে ব্যক্তিগত কথার অজুহাতে বাবলাতলা বাজারের বালুর মাঠে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু, দপ্তর সম্পাদক সিদ্দিক, যুবদল সদস্য আল-আমিন, আবু বক্কর, মহিব, জালাল উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মোল্লা ও ছাত্রদলের সদস্য নাঈম ফরাজী রাকিবকে লাঠি, রড, পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাকে তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক (মাস্টার) বলেন, “তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের কথোপকথন বা বিরোধ হয়নি। মারধরের ঘটনাটি সম্পর্কেও কিছু জানি না।”
ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু বলেন, “আমরা শুনেছি রাকিবকে কেউ মারধর করেছে, তবে কারা করেছে তা জানি না।”
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সায়মা ইসলাম