
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে বলেন, গেল ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশে যা ইচ্ছে তাই করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের দোসররা রয়েছে। দেশটা একটা বিদেশী তাবেদার বানিয়ে রেখেছিল। সংবিধানটিকে তারা নিজেদের দলীয় একটি কাগজের মত করে ফেলছিল। যখন যা মন চেয়েছে, তখন তা সংবিধানে বসিয়েছে। নিজেদের প্রয়োজনে সংশোধন করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের আগে সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেটি যৌক্তিক এবং যতটুকু না হলে নয়, ততটুকু করেই নির্বাচন দেওয়া উচিত। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়ার যে ঘোষণা এসেছে, আমরা এবং দেশের মানুষ এটাকে সাধুবাদ জানাই। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরে জাতীয় হলে, কোন সমস্যা আছে বলে আমাদের মনে হয় না।
তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পরে দেশে সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, এরশাদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন দেখেছি। কেউই আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি দিতে পারেনি। ইসলামী নীতি আদর্শের বাইরে থেকে দেশে সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব। এজন্যই দেশের মানুষ ইসলামী শাসন দেখতে চায়। সেই পরিবেশও এখন তৈরি হয়েছে। আমরা আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো একত্রিত হয়ে ইসলামের পক্ষে একটি ভোটবাক্স দেওয়া যায় তা চিন্তা করেছি। এ বিষয়ে জোরেসোরে কাজ চলছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে বাগেরহাট শহরের খারদ্বার মাদরাসা ময়দানে মাহফিলের আগমুহূর্তে সংবাদকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
কানন