
রদীর্ঘ প্রতিার অবসান, অবশেষে বৃষ্টি এলো। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল চা বলয়। প্রায় দুই মাস পর বৃষ্টি হওয়ায় খুশির হাওয়া চা বলয়ে। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে গিয়েছে।এই সময়টা চা বাগানে বৃষ্টির প্রয়োজন। যত বৃষ্টি হবে ততই চা গাছ সতেজ হবে, আর সবুজ পাতা গজাবে।
ভোর থেকে সকাল আকাশে ছিল কিছুটা মেঘ, কিছুটা রোদ। এরপর সময় ব্যবধানে স্থান বিশেষে ধাপে ধাপে শুরু হয় ঝুম বৃস্টি। প্রচন্ড তাপদাহ ও খরার কবলে উত্তরাঞ্চলে বৃহস্পতিবার(১০এপ্রিল) আকাশে মেঘের গর্জনের সঙ্গে বৃষ্টিও বেড়েই চলছে। কমেছে তাপমাত্রা।এদিকে, বৃষ্টিতে সমতলের চা বলয়, ভুট্টা, মরিচ, ইরিবোরো ধান ক্ষেত সহ ফসলি জমি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তবে ভোগান্তিতে পড়ে এসএসসির পরীক্ষার্থীরা। পাশাপশি অফিসগামীসহ জরুরি কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। তবে বৃষ্টির কারণে গরম কমায় অনেকটা স্বস্তি পেয়েছে রংপুর অঞ্চলের আট জেলার মানুষজন। নীলফামারীর ডিমলায় বৃস্টির সাথে ঝড়োহাওয়া বয়ে যাওয়া বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র মতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে বৃস্টি অব্যাহত ছিল। তবে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বৃস্টি শুরু হয় সকাল ১০টার দিকে। অপর দিকে কৃষি বিভাগ বলছে বৃষ্টি চলছে যা নির্ধারিত সময়ে পরিমাপ করে আগামীকাল জানানো হবে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়,বৃহস্পতিবার নির্ধারিত মাপযোগের সময় শুধুমাত্র পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয় ২৩ মিলিমিটার। নির্ধারিত সময়ের পরে যে বৃস্টি চলমান তা বেলা ৩টায় পরিমাপ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, অনাবৃষ্টির কারণে প্রখর রোদে খরায় পুড়ছিল উত্তরাঞ্চলের সমতল ভুমির চা বলয়। ফলে চা-চাষিদের মাঝে দেখা দিয়েছিল আহাজারি নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটের চা বলয়ে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছিল। যার কারণে অতিরিক্ত গরমে চা গাছে লাল মাকড়সা, লুপারসহ বিভিন্ন পোকা মাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে চায়ের কচি পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত খরচে সেচ দেওয়ার পরও ঝিমিয়ে পড়ছে বাগানের চা গাছ। খবর নিয়ে জানা গেছে ঝুম বৃস্টির কারনে চা চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। পাশাপাশি সেচ নির্ভর বোরো ইরিবোরো ধান আবাদে এই বৃস্টির শান্তির বার্তা বয়ে এনেছে। পাশাপাশি মরিজ ক্ষেতগুলো ফিরে পেয়েছে প্রাণ।
কানন