ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০, দোকানপাট ভাংচুর - লুটপাট

 নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর 

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ১০ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১১:০৬, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০, দোকানপাট ভাংচুর - লুটপাট

ছবি : অভিজিৎ রায়

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ টি দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

 

বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৮ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক ঘন্টাব্যাপী সালথার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। প্রায় কয়েক ঘন্টা ব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রুপ নেয়। তবে প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। 

 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানায়, ওই এলাকার নুরু মাতুব্বর ও জাহিদ মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল। নুরু মাতুব্বর বিরোধকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় এই পক্ষের নেতৃত্ব দেন তার ভাই সালথা উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর মাতুব্বর। 
এই বিরোধের জেরে বুধবার  রাতে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি, রামদা, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নুরু মাতুব্বরের সমর্থক নান্নু মাতুব্বরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙ্গে লুটপাট করে প্রতিপক্ষরা। এরপরই দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। পরে রাত ১০ টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলাকায় যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও গভীর রাত পর্যন্ত উত্তেজনা চলছিল । 

 

এ ব্যাপারে জাহিদ মাতুব্বর নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে বলেন, ২০১৮ সালের শামা ওবায়েদ রিংকু (বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের দোসররা। এখন তারাই আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বুধবার বিকালে আমার সমর্থক বাজারের ইলেকট্রিক্যাল ব্যবসায়ী মামুন শেখকে (৩৬) মারধর করে। এর জের ধরে বুধবার রাতে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আমার পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।    

এ ব্যাপারে মুনসুর মাতুব্বর বলেন, আমরা বিএনপি'র রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে আমাদের মারামারি হয়েছে। জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর (সাবেক এমপি) লোক। বিগত দিনে ওদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। বিকালে বালিয়া গ্রামের সবুর খাঁকে প্রথমে মারধর করে ওরা। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষের অনেক লোক আহত হয়েছেন।

 


 সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

আঁখি

×