
ছবিঃ সংগৃহীত
সাভারে খেয়া ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একটি পক্ষ গুলি করে ট্রলার লুট করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সাভার মডেল থানাধীন কাতলাপুর কর্ণপাড়া মিলনঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাভার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন সাভার পৌর যুবদলের কর্মী অন্তর খান (২৬), মোর্শেদ খান (২৫), মোশারফ খান (২৮), হৃদয় (২৫), রনি খান (৪২) সহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জন। তারা সকলেই মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার ফুডনগর এলাকার বাসিন্দা।
মো. কামরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত প্রায় সাত মাস ধরে বৈধভাবে ঘাটটির ইজারা নিয়ে ঘাট পরিচালনা করছেন তিনি। সম্প্রতি অন্তর খান নামে স্থানীয় এক যুবক তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না দেওয়ায় অভিযুক্ত অন্তরসহ ১৪/১৫ জন যুবক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের ঘাটে হামলা চালিয়ে দু'জন মাঝিকে মারধর করে এবং দুটি ট্রলার লুট করে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এসময় অভিযুক্তরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।
জানা গেছে, খেয়া ঘাটটি বর্তমানে পরিচালনা করছেন যুবদল নেতা মো. কামরুল ইসলাম ও তার ছেলে হেদায়েত। ঘাটটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নদীর বিপরীত পাড়ের অন্তরসহ কয়েকজনের সঙ্গে কামরুল ইসলামদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। মূলত এই দ্বন্দ্বের কারণেই আজ ট্রলার লুটের ঘটনা ঘটেছে।
সাভার পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ঘাটটির ইজারা কার্যক্রম শুরু হলেও সেটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। এখনও পর্যন্ত কাউকে অফিসিয়ালি ইজারাদার ঘোষণা করা হয়নি। ইজারা কার্যক্রম চূড়ান্ত হওয়ার পর কে ইজারাদার হচ্ছেন, সেটি বলা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অন্তর খানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সাভার মডেল থানার এসআই সাইদুর খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে কোনো গুলির ঘটনা আমরা পাইনি। ঘাটটির নিয়ন্ত্রণ বা দখলকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে।
মারিয়া