
কৃষক রবিউল নিজের জমিতে বেগুনি রঙের ধান পরিচর্যা করছেন
চারপাশে সবুজ ধানের সমারোহ। মাঝখানে বেগুনি রঙের পাতার ধানখেত। যে কারো প্রথম দর্শনে ধান ভাবতে অবাক লাগবে। চারদিকে বিস্তৃত সবুজ ধানখেতের মধ্যে বেগুনি রঙের ধান গাছ দেখে অনেকে অবাক হচ্ছেন।
এমনই বেগুনি পাতার ধান চাষ করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পিড়াশন এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম। তিনি ১২ কাঠা জমিতে এই ধানের চাষ করেছেন। ইউটিউবে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে গাইবান্ধা থেকে নিয়ে এসে শখের বসে এ ধানের চাষ শুরু করেন কৃষক রবিউল ইসলাম।
অপ্রচলিত এই ধান আবাদের ফলে ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। কৃষকসহ নানান দর্শনার্থী প্রায় প্রতিদিন তার ক্ষেতে ভিড় করছেন বেগুনি ধান দেখার জন্য। আশপাশের অনেক মানুষ আসছেন তার ধানখেত দেখতে। এতে করে এলাকায় ব্যাপক কৌতূহল ও সাড়া পড়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, এ ধানে যদি ফলন ভালো হয় তবে আগামীতে আরো বেশি জমিতে এ ধানের চাষ করবেন তারা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, এই ধানের আয়ুষ্কাল একটু কম। যদি ফলন আশানুরূপ হয় তবে শৌখিন কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হবে এই জাতের ধান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন চাষ শুরু হওয়া এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। দেশে সর্বপ্রথম এ জাতের ধানের আবাদ শুরু হয়েছিল গাইবান্ধায়। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ধান। ধানের গায়ের রং সোনালি ও চালের রং বেগুনি। উফশী জাতের এ ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেকটাই কম হয়।
রোপণ থেকে ধান পাকতে সময় লাগে ১৪৫-১৫৫ দিন। অন্য জাতের ধানের চেয়ে এ ধানের গোছাপ্রতি কুশির পরিমাণ বেশি থাকায় একরপ্রতি ফলনও বেশ ভালো। একরপ্রতি ফলন ৫৫ থেকে ৬০ মণ হয়ে থাকে। অন্য সব ধানের তুলনায় এ ধান মোটা। তবে পুষ্টিগুণ অনেক। এ চালের ভাত খেতেও সুস্বাদু।
কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, চারপাশে সবুজ ধানের মাঝে বেগুনি এ ধানখেতটি প্রথম দেখায় দৃষ্টি কাড়ছে সবার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী বলেন, জেলায় বেগুনি জাতের এ ধান নতুন। ফলে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।