
সদর উপজেলার বড়ইতলীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ইট, খোয়া, বালি স্তূপ
জয়পুরহাটে উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সড়ক নির্মাণ কাজের ইট, খোয়া ও বালি রাখায় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও তাদের অভিভাবকরা। সদর উপজেলার বড়ইতলীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ইট, খোয়া, বালি স্তূপ করে রাখা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি সড়কের কাজের জন্য প্রায় এক মাস ধরে এসব ফেলে রাখা হয়েছে বলে জানায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠের মাঝখানে ইট, খোয়া, বালির স্তূপ। মাঠের প্রায় চারভাগের তিনভাগ জায়গাজুড়ে রাখা হয়েছে এসব। জানা গেছে, বড়ইতলীহাট এলাকার পাশের গ্রামের একটি রাস্তা পাকাকরণের জন্য ঠিকাদার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বলে একমাস আগে এই মালামালগুলো রাখেন, তখন রমজান উপলক্ষে প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুমতি দিয়েছিলেন, এখনো সেগুলো না সরানোর কারণে উদ্বেগ জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির আরাফাত হোসেন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ইট, বালি, খোয়া রাখার কারণে আমরা খেলাধুলা করতে পারছি না। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রিদয় ও নবম শ্রেণির সৌরভ নামের আরও দুইজন শিক্ষার্থী বলেন, এমনিতেই আমাদের মাঠটি অনেক ছোট, সেখানে এসব মালামাল রাখার কারণে আমরা খেলাধুলা কিংবা এসেম্বলিও করতে পারছি না। আমাদের দাবি দ্রুত এসব সরিয়ে নিয়ে আমাদের মাঠ পরিষ্কার করে খেলাধুলার উপযোগী করে দেওয়া হোক।
বড়ইতলীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীত চন্দ্র সরকার বলেন, বিদ্যালয়ে এসব রাখার কারণে শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা হচ্ছে, বিশেষ করে অ্যাসেম্বলিসহ খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক বলেন, আমরা তাগাদা দেওয়ার পরেও ঠিকাদার এগুলো সরাননি, আজকে আবার তিনদিন সময় চাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার জিয়াউল ফেরদৌস রাইট মোবাইল ফোনে বলেন, আমি প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি আজ রাতের মধ্যেই মাঠে যেসব মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে সেগুলো সাইজ করে মাঠের একপাশে রাখব। জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষক ও ঠিকাদারকে বলা হয়েছে, এবং তাদের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এসব সরিয়ে ফেলার জন্য বলা হয়েছে।